
শহিদুল ইসলাম, উখিয়া ::
কক্সবাজারে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী নতুন রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংঘি লি। মঙ্গলবার একুশে ফেব্রুয়ারী দুপুর একটার দিকে এ প্রতিনিধি দল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। দুপুর দেড়টা থেকে দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী খলিল মাঝির ঝুুপড়ির ঘরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে নির্যাতিত অন্তত পঞ্চাশ জন নারী-পুরুষের কথা শুনেন ইয়াংঘি লি। এ সময় তাদের উদ্দেশ্য বলেন,অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এ দেশে চলে এসেছেন। তার জন্য ধন্যবাদ জানান। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারে ও জানানো হবে। মিয়ানমারের শীলখালী গ্রামের মো: রফিকের স্ত্রী সমুদা বেগম(৩৫) বলেন গত দুই মাস আগে দুই ছেলেকে নাফ নদী পার হয়ে এ দেশে চলে আসি। ওখানকার মিলিটারী আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেন। মিয়ানমারের নোয়াপাড়া এলাকার মৃত ছব্বির আহমদের ¯ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন,গত দেড়মাস আগে স্বামী ও সন্তাানকে মিলিটারি হত্যা করেন। কোনমতেই পালিয়ে আসি এখানে ঝুপড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়েছি। কেয়ারীপাড়া গ্রামের হাজেরা বেগম বলেন আমার স্বামী অনেক দিন ধরে নিখোঁজ আছে। এখনো জানি না কোথায় আছেন,জীবিত না মৃত। মেীলভী জাফর আলম বলেন মিয়ানমার সরকার য়দি নাগরিকত্ব দিলে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। এ্খনো নতুন রোহিঙ্গা আসছে। মিযানমারের পোয়াপাড়া গ্রামের সাবেক চেযারম্যান আবুল ফয়েজ বলেন মিযানমারের সামরিক বাহিনীর এ পর্যন্ত অনেক নারী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তিনি আরো বলেন মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হাতে গণ ধর্ষণের শিকার ৪২ নারী ও গুলিবিদ্ধ ৩৬ পুরুষের নাম সম্বলিত একটি তালিকা ইয়াংঘি লি হাতে তুলে দেন । এই সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সহকারী পররাষ্ট্র সচিব বাকী বিল্লাহ, মিয়ানমারের মানবাদিকার বিষয়ক রিপোর্টার ,উখিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি ) নুরুদ্দিন মো: শিবলী, আইএমও প্রতিনিধি সৈকত বিশ্বাস ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের বাংলাদেশস্থ কমিউনিকেশন এন্ড পার্টনারশিপ অফিসার নাজ্জিনা মোহসিন। বিকেল চারটার দিকে কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে ত্যাগ করেন।
পাঠকের মতামত